বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হ’ত্যার মাস্টারমাইন্ড ও প্রধান আসামি
সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড। ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কথিত ব’ন্দুকযু’দ্ধে
নিহত হয় নয়ন। মৃ’ত্যুর আগে পুলিশের সঙ্গে ৭৭ বার টেলিফোনে কথা হয় তার।
হাইকোর্টে এমন তথ্য জানিয়েছেন রিফাতের স্ত্রী’ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির
আইনজীবী।
বুধবার মিন্নির জামিন আবেদনের ওপর হাইকোর্টের দেয়া রুলের শুনানিতে অংশ নিয়ে মিন্নির আইনজীবী জেড আই খান পান্না এসব কথা বলেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে মিন্নির জামিন আবেদনের এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ওইদিন আদালতে মিন্নির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী
জেডআই খান পান্না, তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মশিউর রহমান, মাক্কিয়া
ফাতেমা, জামিউল হক ফয়সাল।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন
বাপ্পী। এ সময় আদালতে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাবেক বিচারপতি মনসুরুল হক
চৌধুরী মিন্নির জামিনের পক্ষে তার মত তুলে ধরেন।
শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন মিন্নির জামিনের
বিরোধিতা করে বলেন, রিফাত হ’ত্যাকা’ণ্ডের আগে ৮ বার এবং পরে ৫ বার নয়ন
বন্ডের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মিন্নি।
এটি কি তাকে নির্দোষ প্রমাণ করে? সে এ ঘটনার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী। তার
কারণেই দুটো প্রাণ ঝরে গেছে। জবাবে মিন্নির আইনজীবী জেডআই খান পান্না বলেন,
নয়ন বন্ড মা’রা যাওয়ার আগে পুলিশের সঙ্গে ৭৭ বার টেলিফোনে কথা বলেছে।
এ প্রতিবেদন পত্রিকায় এসেছে। আর যে নয়ন বন্ডের কথা বলা হচ্ছে, সেই বন্ড
তৈরি হয়েছে পুলিশ ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়। পুলিশ এখন বলছে বন্ড মিন্নির
সৃষ্টি।
তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, নয়ন তার একটি পরিত্যক্ত মোটরসাইকেল আটকের বিষয়ে ওই এসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করত।
এর আগে তলব আদেশে হাইকোর্টে সিডিসহ হাজির হন তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন
কবির। আদালত তাকে প্রশ্ন করেন, এ মামলায় কি নয়ন বন্ডকে গ্রে’ফতার করেছিলেন?
জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আমি গত ৩০ মে বরগুনায় নিযুক্ত হই। এর পর
অন্য মামলায় নয়ন বন্ডকে আসামি হিসেবে পাই। এ মামলায় সে গ্রে’ফতার হয়নি।
বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে নয়নকে গ্রে’ফতার করতে গেলে
বন্ধুকযু’দ্ধে সে মারা যায়।
গত ২৬ জুন রিফাতকে বরগুনার রাস্তায় প্রকাশ্যে কু’পিয়ে হ’ত্যা করা হয়।
এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়।
পরদিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি
মা’মলা করেন, তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে। পরে মিন্নির শ্বশুর
তার ছেলেকে হ’ত্যায় পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে
ঘটনা নতুন দিকে মোড় নেয়।
কথিত ব’ন্দুকযু’দ্ধে নয়ন বন্ডের মৃ’ত্যুর পর তার সম্পর্কে বহু
চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। সাব্বির আহমেদ থেকে নয়ন বন্ড হয়ে উঠার পেছনে কাজ
করেছে বরগুনার রাজনৈতিক শক্তি ও প্রশাসন। এ দুটির প্রশ্রয়েই ছিঁচকে চোর
থেকে ভয়ঙ্কর অ’প’রাধী হয়ে উঠেন নয়ন বন্ড। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা
গেছে এসব তথ্য।
নয়ন বন্ড ব’ন্দুকযু’দ্ধে নিহত হয়েছে- প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা
হলেও স্থানীয়রা সেটি মানতে নারাজ। তারা বলছেন, নয়ন বন্ডকে ‘মেরে ফেলা’
হয়েছে। নয়ন গ্রে’ফতার হলে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের মুখোশ
উন্মোচিত হয়ে যেত- এ কারণেই তাকে ‘হ’ত্যা’ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্থানীয়
পুলিশের অনেক অসাধু কর্মক’র্তার কুর্কী’তিও সামনে চলে আসত নয়ন বেঁচে
থাকলে।
স্থানীয়রা বলছেন, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে পূর্ব সম্পর্কের জেরে
নয়ন বন্ড রিফাত শরীফকে খু’ন করেছে এটি যেমন সত্য, ঠিক তেমনি সত্য হচ্ছে-
নয়নের ‘বন্ড’ হয়ে উঠার পেছনে রাজনীতিবিদরাই দায়ী।
অন্য অ’প’রাধীর মতো নয়নের উত্থানটাও ছিল বেশ চমকের। নয়নের একসময়ের
সহপাঠীরা জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে সুনাম দেবনাথ ও থানার কতিপয়
অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার আশকারায় সাব্বির আহমেদ থেকে নয়ন ব’ন্ড হয়ে উঠে সে।
নয়নের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর
স্থানীয় এমপিপুত্র সুনাম দেবনাথ এবং তার চাচাতো শ্যালক শাওন তালুকদার ও
অ’ভিজিৎ তালুকদারের সঙ্গে নয়নের সখ্য গড়ে ওঠে।
অভিজিৎ ও নয়ন একসঙ্গে বিভিন্ন অ’প’রাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। তখন
বিভিন্ন ছাত্রাবাসে গিয়ে ছাত্রদের কাছ থেকে মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়া,
চাঁদাবাজি ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়া ছিল তাদের নিয়মিত কাজ।
তাদের আশ্রয়ে ছিঁচকে চো’র থেকে ভয়াবহ স’ন্ত্রাসী হয়ে উঠে নয়ন। মা’দক,
নারী, অ’বৈধ টাকা এসবের সঙ্গে ছিল তার নিত্য আনাগোনা। নিজের বাংলোয় (বিশেষ
কক্ষ) ডেকে নিয়ে বহু তরুণীর সর্বনাশ করেছে নয়ন। নারীর পাশাপাশি মা’দক
নে’শায়ও বুঁদ হয়ে পড়েছিল নয়ন।
সন্ত্রাসের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসায়ও ছিল তার বড় হাত। এসব অ’প’রাধের মধ্য
দিয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে এলাকার নেতৃত্বাস্থানীয়দের নজরে চলে নয়ন। তার
সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠে এলাকার রাজনৈতিক মহলের। পু’লিশ প্রশা*সনের সঙ্গেও নয়নের
ওঠবস ছিল চোখে পড়ার মতো।
২০১৭ সালের শেষ দিকে বিপুল মা’দকসহ পু’লিশের হাতে গ্রে’ফতার হয় নয়ন। ওই
একই রাতে পু’লিশ অ’ভিযান চালায় কলেজ রোডের সুনাম দেবনাথের প্রতিষ্ঠান সুনাম
দেবনাথ ব্লাড ফাউন্ডেশনের অফিসে। পু’লিশ যখন ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল,
তখন পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় দুই-তিনজন।
জে’লা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘রিফাত হ’ত্যার পর সুনামই গণমাধ্যমে
বলেছেন, রিফাত তাদের কর্মী ছিল। রিফাতকে অনেক ভালোবাসতেন।’ মজার ব্যাপার
হচ্ছে- এই রিফাতও মা’দকসহ গ্রে’ফতার হয়েছিল। রিফাত হ’ত্যার পর আলোচনায় আসে
নয়ন ব’ন্ডের ‘০০৭ গ্রুপ’ ও ‘টিম সিক্সটি’ নামের দুটি গ্রুপ। টিম সিক্সটির
প্রধান হচ্ছে- মঞ্জুরুল আলম জন। জনের বি’রুদ্ধে রয়েছে মা’দকের পাইকারি
বাণিজ্যের অ’ভিযোগ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নয়ন ব’ন্ড প্রথমে ছিঁচকে চো’র ছিল।
একপর্যায়ে মেয়েদের হ্যান্ডব্যাগ, মোবাইল ফোন নিয়ে দৌড় দিত। তবে নিষিদ্ধ
মা’দকের জগতে ঢুকে সে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠে। বছরখানেক ধরে জে’লার প্রভাবশালী
লোকজনের সঙ্গে নয়নের ওঠবস শুরু হয়। কয়েক মাস ধরে সে বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
নয়নের একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু নূর হোসেন জানান, বাবার মৃ’ত্যুর কিছু দিন
পর প্রেমে বিচ্ছেদ হয়। এর পর নয়ন গাঁজা সেবন শুরু করেন। ২০১১ সালে মাধ্যমিক
পেরোনোর আগেই সে ইয়াবা ও হেরোইনে আসক্ত হয়ে পড়ে। তখন মা’দকের টাকা
জোগাতে মানুষের মুঠোফোন, গহনা ছিনিয়ে নেয়ার মতো ছিঁচকে অ’প’রাধ শুরু করে।
মা’দকের টাকার জন্য নয়নের এমন অ’প’রাধ দিন দিন বাড়তে থাকে। ২০১৫ সালের
মধ্যে তার বি’রুদ্ধে অ’স্ত্র, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অ’ভিযোগে পাঁচটি মা’মলা
হয়। ভুক্তভোগীরা তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছে নয়নের বিষয়ে অ’ভিযোগ
করতে শুরু করেন। নয়নও তখন রাজনৈতিক আশ্রয় খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে
জে’লা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুরাদ হোসেইনের হাত ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়
নয়নের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর
সুনাম দেবনাথ এবং তার চাচাতো শ্যালক শাওন তালুকদার ও অ’ভিজিৎ তালুকদারের
সঙ্গে নয়নের সখ্য গড়ে ওঠে। অ’ভিজিৎ ও নয়ন একসঙ্গে বিভিন্ন অ’প’রাধমূলক
কর্মকা’ণ্ডে যুক্ত হয় তখন বিভিন্ন ছাত্রাবাসে গিয়ে ছাত্রদের কাছ থেকে
মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়া, চাঁদাবাজি ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়া ছিল তাদের
নিয়মিত কাজ। তবে সুনাম দেবনাথ বরাবরই এসব অ’ভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
বরগুনা শহরে সাধারণ লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নয়ন ব’ন্ডের
ক্ষমতার উৎস শহরের কারও কাছেই অজানা নয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে
নয়নকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশতে দেখা গেছে। বখাটে
নয়নকে নষ্ট রাজনীতিতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে অসাধু রাজনীতিকরা।
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা ‘০০৭ লাইসেন্স’র নায়কের নামানুসারে নিজের নামের
সঙ্গে ‘ব’ন্ড’ যুক্ত করে নয়ন। এর পর সিনেমাটির গল্পের আদলে গড়ে তোলেন
স’ন্ত্রাসী বাহিনী।
নয়নের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, নয়নের ঘরে সাদা দেয়ালে লাল রঙ দিয়ে এক জায়গায় লেখা ০০৭ (নয়নের স’ন্ত্রাসী গ্রুপের সাংকেতিক নাম)।
প্রসঙ্গত ‘০০৭ লাইসেন্স’ একটি বিখ্যাত হলিউড সিনেমা সিরিজ। সিনেমা’র
মৌলিক গল্প অনুযায়ী ০০৭ হচ্ছে মানুষ হ’ত্যার লাইসেন্স। এতে যিনি নায়কের
চরিত্রে অ’ভিনয় করেন, তার নাম জেমস ব’ন্ড।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, এই ছবি দেখে নয়ন বিশেষভাবে প্রভাবিত হয় এর পর
নিজেকে ‘০০৭ লাইসেন্স’ সিনেমা’র নায়ক ভাবতে শুরু করেন। একপর্যায়ে নিজের
নামের সঙ্গে নিজেই যুক্ত করে দেয় ‘ব’ন্ড’ শব্দটি এবং একই সঙ্গে গড়ে তোলেন
০০৭ নামের স’ন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনী নয়নের হুকুমে চলত। তার নির্দেশমতো
অ’পকর্ম করে বেড়াত।
পু’লিশের সঙ্গে ছিল নয়নের নিত্য ওঠবস। শহরের বাসিন্দারা এমনও বলছেন, নয়ন
চাইলে যে কাউকে পু’লিশ দিয়ে হয়’রানি বা গ্রে’ফতার করাতে পারত। নয়ন কাজ করত
পু’লিশের বিশ্বস্ত সোর্স হিসেবে।
সন্ত্রাসের পাশাপাশি নারী নে’শায় বুঁদ ছিল নয়ন। নয়ন ব’ন্ডের হাতে ঠিক
কতজন তরুণীর সর্বনাশ হয়েছে তার সঠিক হিসাব নেই পু’লিশের কাছেও। তবে নয়নের
‘বিশেষ কক্ষ’ থেকে উ’দ্ধার একটি ল্যাপটপে বহু প’র্নো ভিডিও পাওয়া গেছে।
কয়েকটি আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি
প’র্নো ভিডিওতে নয়ন ব’ন্ডের সঙ্গে একাধিক তরুণীর বিশেষ মুহূর্তের দৃশ্য
রয়েছে। একেক দিন একেক তরুণী নিয়ে সে যে ফুর্তিতে মেতে উঠেছিল তা স্পষ্ট।
পু’লিশের সূত্র বলছে, নয়ন ব’ন্ডের ওই বিশেষ কক্ষের গো’পন জায়গায় সুকৌশলে আইপি ক্যামেরা (ইন্টারনেট ক্যামেরা) বসানো থাকত।
বিশেষ উদ্দেশে নয়ন ব’ন্ড যাদের ওই কক্ষে আনতেন তারা কেউ ক্যামেরার
অস্তিত্ব টের পেতেন না। একবার নয়নের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়ার পর ওই মেয়ের আর
রক্ষা ছিল না।
ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে বারবার কিশোরী- তরুণীদের ব্যবহার করত সে।
অনেক তরুণী নয়নের হাত থেকে বাঁচতে কলেজ ছাড়তে পর্যন্ত বাধ্য হয়েছেন।
অনেকে আবার নয়নের চাহিদামতো মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা
করেছেন। পু’লিশের হাতে এমন অন্তত ১২ তরুণীর তথ্য আছে বলে জানা গেছে।
নয়ন কথিত ব’ন্দুকযু’দ্ধে নি’হত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কে বা কারা এসব ভিডিও ছড়াচ্ছে তার সন্ধান করতে পারেনি পু’লিশ।
নয়ন ব’ন্ডের বাড়ি বরগুনা শহরের ডিকেপি রোডের মাঝ বরাবর একটি সরু গলির শেষ প্রান্তে। বাড়ির সামনে অনেকটা জায়গা খালি।
বাড়ি নির্মাণের জন্য সম্প্রতি সেখানে অনেক ইট এনে রাখা হয়েছে। নয়নের
বাড়ির মূল দরজার পাশেই একটা ছোট্ট বৈঠক ঘর। নয়ন সেখানেই থাকত। গভীর রাত
পর্যন্ত ঘরের দরজা খোলা থাকত। সারা দিন এখানে-সেখানে ঘোরাঘুরির পর গভীর
রাতে বাড়ি ফিরত।
রাত ১২টার পর তার কক্ষে লোকজনের আনাগোনা বেড়ে যেত। আসতেন পু’লিশের
সদস্যরাও। প্রতিবেশীরা বলছেন, পু’লিশের কয়েকজন অসাধু সদস্য মা’দক ব্যবসার
সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা নয়নকে ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে মা’দক ব্যবসা চালিয়ে
গেছে। শহরের অনেকেই মা’দকের সঙ্গে যুক্ত ওই পু’লিশ কর্মক’র্তাদের চেনে-
জানে। কিন্তু কেউ-ই মুখ খুলতে নারাজ।
শহরের বাজার রোডের আরেক বাসিন্দা বলেন, নয়নের মনোরঞ্জনে ব্যবহৃত অনেক
তরুণীকে পরে পু’লিশের মনোরঞ্জনে ব্যবহৃত হওয়ার কথা শোনা গেছে। বিনিময়ে
পু’লিশের উ’দ্ধার করা মা’দকের ভাগ পেত নয়ন।
বরগুনা পু’লিশের এক কর্মক’র্তা বলেন, নয়নের শোবার ঘর থেকে যে ল্যাপটপটি
উ’দ্ধার করা হয়েছে সেখানে কয়েকশ’ নীল ফিল্ম রয়েছে। স্থানীয় অনেক তরুণী যে
তার শিকারে পরিণত হয়েছেন ল্যাপটপের ওই ভিডিও-ই তার প্রমাণ
Post Top Ad
Responsive Ads Here
শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৯

বন্দুকযুদ্ধের আগে পুলিশের সঙ্গে ৭৭ বার ফোনে যে কথা হয় নয়নের
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
Post Bottom Ad
Responsive Ads Here
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন